রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসকে দ্রুত বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই যুদ্ধের ফলে যারা বেশি লাভবান হচ্ছে তাদের উচিত, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা।
শনিবার (৪ মার্চ) কাতারের স্থানীয় সময় বিকেলে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা-গুতেরেস।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন কাতারের রাজধানী দোহায়। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার কিছু পরে তাকে বহনকারী বিমানটি সেখানকার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে নিরাপত্তা প্রহরা আর মোটর শোভাযাত্রায় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
সব ঠিক থাকলে কাতারে রোববার (৫ মার্চ) সকালে এলডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দিয়ে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে শনিবার সফরের শুরুতেই স্থানীয় সময় বিকেলে ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
বৈঠকে মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এই যুদ্ধে পুরো দুনিয়া ভোগান্তিতে পড়েছে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে সংকটগুলো তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের পক্ষে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, স্যাংশনের (যুদ্ধের) কারণে পণ্যের চালান সময়মতো না আসায় দেশে-দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। এতো মানুষের কষ্টে বা যুদ্ধে লাভবান দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে সহজ উত্তরণের জন্য বৈশ্বিক সমর্থন চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৫-৯ মার্চ দোহায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ‘এ’ গ্রুপের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এটি ঢাকার শেষ অংশগ্রহণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ফোরাম থেকে উত্তরণ লাভ করতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি এলডিসি ৫ সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ ছাড়াও কাতারের আমিরসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
৮ মার্চ পর্যন্ত কাতারে অবস্থানকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। জ্বালানি খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে।


0 Comments