শনিবার(৪ মার্চ)দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি।
সাহাবুদ্দিনের ভাগিনা মাহমুদুল হাসান নাফিজ জানান, তার মামা সৌদি আরব প্রবাসী। সেখানে থেকে দেশে খেজুরের ব্যবসা করতেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে আসেন তিনি। উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডে নিজের বাসায় থাকতেন।
নাফিজ আরও জানান, শনিবার সকালে মামা ভাগিনা নিজেদের প্রাইভেটকার নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে বের হন। রাতে মালিবাগ গুলবাগে রেললাইনের পাশে গাড়ি থেকে নেমে এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সাহাবুদ্দিন। এ সময় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। তখন পথচারীদের মাধ্যমে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করান।
তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়। স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে উত্তরার বাসায় থাকতেন। চলতি মাসের শেষের দিকে আবার সৌদি আরব চলে যাওয়ার কথা ছিল তার।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।


0 Comments