সর্বশেষ

4/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ভুল চিকিৎসার অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর | Part of News

মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় শারমিন নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পানিছত্র এলাকার কে.আই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শারমিন সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকার আনোয়ার খালাসির স্বামী। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকার পপুলার হাসপাতালে সাইয়েদা সিদ্দিকা এলিজা নামের চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে শারমিন বেগমের পুত্র সন্তান হয়। ৭ দিন পর পরিবারের লোকজন শারমিনের বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। গত দুদিন ধরে শারমিনের মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা হলে একই চিকিৎসকের পরামর্শে শুক্রবার সকালে পানিছত্র এলাকার কে.আই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই চিকিৎসক দুপুর ১টার দিকে রোগীর মেরুদণ্ডে ব্যথা কমানোর জন্য শরীরে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন।

স্বজনদের অভিযোগ, ইনজেকশন পুশ করার পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন শারমিন। তড়িঘড়ি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানোর সময় মৃত্যুর বিষয়টি ধরা পড়ে। এরই প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শারমিনের স্বামী আনোয়ার খালাসি বলেন, ‘চিকিৎসক চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য জায়গায় পাঠাতে পারতো। সেটা না করে নিজেই ভুল চিকিৎসা দিয়ে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

অভিযুক্ত ডা. সাইয়েদা সিদ্দিকা এলিজা মুঠোফোনে বলেন, ‘দায়িত্ব অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসা নয়, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় শারমিনের। তার যতটুকু চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, এখানে কোনো ত্রুটি ছিল না। আমি চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় চলে আসছি। পরে হাসপাতাল থেকে ফোনে জানায় যে, শারমিন নামের ওই রোগী মারা গেছেন। কোনো রোগী মারা গেলে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে এমন অভিযোগ তো দেবেই-এটাই স্বাভাবিক। তবে কোনো চিকিৎসক কখনই চায় না রোগী মারা যাক।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর শিবচর পৌরসভার খানকান্দি এলাকার সৈয়দ শামীমের স্ত্রী লাকি বেগমের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে একই হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় স্বজনরা। পরে ৬ লাখ টাকায় মীমাংসা করে প্রতিষ্ঠানটি।


Post a Comment

0 Comments