
মাথা এবং মেরুদণ্ড সোজা রেখে রিল্যাক্স করে বসতে হবে। আপনার চোখের বলগুলি আপনার মাথাটি না সরিয়ে একটি বৃত্তাকার গতিতে (ঘড়ির কাঁটার দিকে) ধীরে ধীরে সরান। তাড়াহুড়ো করবেন না, গভীর এবং মৃদুভাবে শ্বাস নিন। এই চোখের চলাচলকে তিনবার পুনরাবৃত্তি করুন এবং তারপরে আপনার চোখ বন্ধ করুন, পোজ শিথিল করুন। এবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে চোখের বল ঘোরান।
ফোকাস শিফটিং
আপনার সামনে একটি বাহু প্রসারিত করুন এবং বুড়ো আঙুল সোজা রাখুন। ১৫ সেকেন্ডের জন্য আপনার এই বুড়ো আঙুলের উপরে ফোকাস করুন এবং আস্তে আস্তে এটি আপনার নাকের দিকে ফিরিয়ে আনুন। আপনি আর আঙুলটি পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাবেন না। বিরতি নিয়ে খানিকক্ষণ শ্বাস নিন এবং বাহুটিকে তার প্রসারিত অবস্থানে ফিরিয়ে আনুন। অন্তত ১০ বার এটা করুন। এটি আপনার চোখকে ফোকাস করতে প্রশিক্ষণ দেবে। অনুশীলন করার সময় শান্তভাবে গভীর শ্বাস নিন।
ফিগার এইট
বসা অবস্থায় মেঝের যে কোনও একটি বিন্দুতে (আপনার সামনে ১০ ফুট) ফোকাস করুন। শুধুমাত্র আপনার চোখ দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের জন্য ৮-এর একটি কল্পিত আকার তৈরি করুন। এটি করার সময় আপনার মাথা বা দেহ সরাবেন না। এই চোখের ব্যায়ামটি ৩ বার করুন মাঝখানে একবার করে বিরতি নিয়ে।
ডিসটেন্স গেজিং উইথ ২০-২০-২০ রুল
উপরে উল্লিখিত সমস্ত অনুশীলনগুলি ছাড়াও একটি ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করুন। প্রতি ২০ মিনিটের পরে কম্পিউটারের পর্দা থেকে বিরতি নিন এবং ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে দেখুন। আপনি যখন এটি করছেন, আপনার দৃষ্টি যেন কোনও স্থির বস্তুর দিকে থাকে।
পামিং
‘পামিং’ দিয়ে চোখের অনুশীলন শুরু এবং শেষ করুন। আপনার হাত ঘষুন এবং সেই গরম হাত চোখের উপরে রাখুন। আঙুলের ডগা থাকবে কপালের উপর। এই উষ্ণ হাতের তালু চোখের উপর একটি আরামদায়ক অনুভূতির পরশ দেবে। ডিজিটাল উদ্দীপনা থেকে আপনার চোখকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য এই পামিং ক্রিয়া খুব কার্যকরী। যখনই কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে বিরতি নিতে চাইবেন, তখন এটি করে দেখতে পারেন।
কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ থেকে বিরতি নিয়ে এই অনুশীলনগুলি অনুসরণ করুন। এই অনুশীলনগুলি আপনাকে ডিজিটাল স্ট্রেনের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পেতে এবং চোখের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
©পার্ট অফ নিউজ

0 Comments