
কলিন্সের পরিবার সূত্র টুইটারে জানায়, তার শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব প্রতিকূলতা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন, শেষ সময়েও তা অটুট ছিল।
কলিন্সের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে নাসা।
নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে একজন মহান পাইলট ও নভোচারীর বিদায়ে শোক প্রকাশ করছে। তিনি এমন এক বন্ধু ছিলেন যিনি সবসময় মানুষের অগ্রযাত্রায় উৎসাহ দিতেন।
১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো ১১। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট। অভিযানে নিল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিনের চাঁদের বুকে পা রাখেন। তবে কলিন্স চাঁদে নামেননি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়।
মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। এরপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে নাসা তাকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেয়।চন্দ্রাভিযানের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন কলিন্স। দক্ষ পাইলট হিসেবে তিনি বিমান বাহিনীতে পরিচিত ছিলেন।মোট দু'বার চেষ্টার পর নাসায় নভোশ্চর হিসাবে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

তবে, চন্দ্রাভিযানের সাফল্যে তিনি কোনওদিনই তাঁর দক্ষতাকে গুরুত্ব দেননি। ২০০৯ সালে দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কলিন্স বলেছিলেন, "আমি ও আমার দুই সহ-অভিযাত্রীরা সকলেই কঠিন পেশা বেছে নিয়েছিলাম। আর তাতে সফলও হয়েছি। তবে আমার ক্ষেত্রে অন্তত বলতে পারি যে মাত্র ১০% পরিকল্পনামাফিক করেছি। বাকি ৯০% পুরোটাই ভাগ্য। আমার কবরে যেন 'লাকি' শব্দটা খোদাই করা থাকে!"
©পার্ট অফ নিউজ



0 Comments